এম এম লিংকন: [২] খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ১০০ ভাগ নিশ্চয়তা দিচ্ছি ঢাকা-১৭ আসনের ভোটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরপেক্ষ থাকবে। আপনারা ১৭ তারিখের নির্বাচন দেখেন। নিরপেক্ষতার প্রমাণ পান কি না দেখেন।

[৩] মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। 

 [৪] ডিএমপি কমিশনার বলেন, ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, সুষ্ঠু ভোটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সব এলাকার জন্য সমান গুরুত্ব দেওয়া হবে। আমরা বিবেচনা করব- কোথায় ঝুঁকি বেশি, কোথায় ঝুঁকি কম। সে হিসাবে ফোর্স মোতায়েন কমবেশি হবে।তবে, ডিএমপির সক্ষমতা রয়েছে। এই ছোট একটি উপ-নির্বাচনে মোতায়েনের জন্য যথেষ্ট ফোর্স রয়েছে। 

[৫] সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোট নির্ভর করে জনগণের ওপর। প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারের ওপর। আমাদের কাজ হলো কেন্দ্রের পুরো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা, যাতে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন। [৬]  বৈঠক শেষে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনসহ বিভিন্ন এলাকায় আরও ৭৫টি ভোট রয়েছে ১৭ জুলাই। ঢাকা-১৭ আসনকে গুরুত্ব দিচ্ছে; কারণ, ঢাকা মহানগরীর ভেতরে নির্বাচন হবে। ব্যালটে নির্বাচন হবে। ঢাকা-১৭ আসনে তিনটি বিষয় কূটনৈতিক এলাকা, ধনী ও বস্তি এলাকা মাথায় রেখে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আমাদের বার্তা একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন করা। পুলিশ-প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট্য সবার প্রতি শতভাগ আস্থা রয়েছে ইসির। 

[৭] বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান, আনিছুর রহমান, ইসি সচিব জাহাংগীর আলম ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খানসহ ইসির উর্ধতন কর্মকর্তারা। ডিএমপি কমিশনারের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধি, গোয়েন্দা বাহিনীর প্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব